ঈদে নতুন জামা কিনে দিয়েছে মা-বাবা। জামার সঙ্গে ম্যাচিং করে একটি ওড়না কিনতে চেয়েছিল মেয়ে। কিন্তু ওড়না কিনে দেয়নি তার মা। এই ক্ষোভে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে তানজিনা আক্তার ফুল (১৪) নামে মাদ্রাসার এক ছাত্রী।
আজ সোমবার ঈদের দিন জামালপুরের নান্দিনা প্রফেসর কলোনী সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিহত ফুল ওই গ্রামের টিভি মিস্ত্রি আলমগীর হোসেন আলমের ‘পালিত মেয়ে। তানজিনা বাদেচাঁন্দি কে. আই দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ফুলের বয়স যখন ৫-৬ বছর তখন তার বাবা মাহবুব হাসান হাওলাদার মারা যান। মারা যাবার পর ফুলের মা ৯ নম্বর রানাগাছা ইউনিয়নের পলাশতলা গ্রামের টিভি মিস্ত্রি আলমগীর হোসেন আলমের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে তাদের দুটি শিশু ছেলে সন্তান হয়।
গতকাল রোববার পরিবার নিয়ে তারা ঈদ করতে পলাশতলায় যায়। কিন্তু অভিমানে মাদ্রাসাছাত্রী ফুল পলাশতলায় যেতে রাজি হয়নি। পরে তাকে ভাড়া বাসায় একা রেখেই তার বাবা মা ও ছোট দুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ করতে পলাশতলায় যায়। বিকেলে পলাশতলা থেকে নান্দিনায় ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখে মেয়ে ফুলের দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
এ খবর পেয়ে জামালপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।